জাতীয় সংসদে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পূরক বাজেট পাস হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে সরকারের যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ মূল বরাদ্দের থেকে বেশি খরচ করছে তা অনুমোদন দিতেই এই বাজেট পাস হয়। আজ সোমবার (১৩ই জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২২ উত্থাপন করেন। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

আগামী ৩০শে জুন শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরের কার্যক্রম নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল থেকে মঞ্জুরিকৃত অর্থের বেশি বরাদ্দ ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য এই সম্পূরক বিল আনা হয়। সম্পূরক বাজেটের ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের ১১ জন সংসদ সদস্য ২৩৮টি ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। তবে সেগুলো কণ্ঠভোটে বাতিল হয়।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের ২৬টি মঞ্জুরি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূরক বাজেটটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। ছাঁটাই প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জননিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। বিদায়ী অর্থবছরের মূল বাজেটে ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের অনুকূলে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।

সংশোধিত বাজেটে ২৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেড়েছে এবং ৩৫টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের বরাদ্দ ২২ হাজার ৬১৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা কমেছে। সার্বিকভাবে ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কমে সংশোধিত বরাদ্দ নিট দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

সম্পূরক বাজেটে অর্থ বিভাগ সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৬১ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করায় এ অতিরিক্ত বরাদ্দ পাচ্ছে অর্থ বিভাগ।

সবচেয়ে কম ১ কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা কম বরাদ্দ পেয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ বিভাগের পাঁচটি চলমান ও ছয়টি নতুন প্রকল্পের অর্থের জন্য এ অতিরিক্ত বরাদ্দ দরকার। এর আগে সম্পূরক বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন।