রাজধানীর সদরঘাট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে একটি যাত্রীবাহী ওয়াটার বাসডুবির ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের নাম আলিফ। বাকি দুইজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৬ই জুলাই) রাত সোয়া ৮টার দিকে সদরঘাটের তেলঘাট এলাকায় একটি বালুবোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের দুটি এবং সিদ্দিকবাজার থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। পরে যোগ দিয়েছে কোস্টগার্ডের সদস্যরাও।
নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রীদের অর্ধেক সংখ্যক সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আটজনকে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ থেকে ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান মারুফ জানান, বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাসটি ডুবে গেছে। বাল্কহেডটি পুলিশি হেফাজতে আছে। এতে ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিলেন। ২৫ জনের মতো সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। পরে আটজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, সোয়া ৮টার দিকে শ্যামবাজার থেকে কেরানীগঞ্জের তৈলঘাট যাওয়ার পথে বুড়িগঙ্গায় একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সরকারি একটি ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। এই ঘটনায় নৌ-পুলিশ উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।