রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনালে বার্দিং করার সময় তাসরিফ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে তার আঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজনের অবস্থা গুরুতর। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে এমভি তাশরিফ পরিবহনকে ধাক্কা দেয় এমভি ফারহান নামে অপর একটি লঞ্চ। এ সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তারা হলেন- মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাদের শিশুসন্তান মাইসা (৩)। তাদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়। নিহত অন্য দুজন হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ সদরঘাট লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১ নম্বর পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। লঞ্চ দুটির মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচজন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিকেলে এক লঞ্চের ধাক্কায় আরেক লঞ্চে ওঠা নামার দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গুরুতর আহত অবস্থায় আরও ১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।