বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। সন্ত্রাস ছাড়া দলটি কিছু বোঝে না বলে মন্তব্য করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানুষকে কিছু দিতে পারে না। তাদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে আখাউড়া-লাকসাম ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

রেলপথের উন্নয়নের সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অলাভজনক বলে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বিএনপি রেলপথ বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেলের উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপির দুঃশাসন ও অপকর্মের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে সুযোগ দিয়েছিল বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পারছি। জনগণকে বলবো, সন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। এরা সৃষ্টি নয়, ধ্বংস করতে পারে। লুটপাট করতে পারে, কিন্তু মানুষকে কিছু দিতে পারে না।

তিনি বলেন, এদের হাত থেকে দেশবাসী রক্ষা পাক, সেটাই আমরা চাই। আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দিচ্ছি না। তবে রেল ও মানুষের কোনো ক্ষতি করলে, তারা কিন্তু ছাড়া পাবে না। সব জায়গায় আমাদের ক্যামেরা থাকবে। একেবারে বেছে-বেছে, ছেঁকে-ছেঁকে তাদের শাস্তি দেয়া হবে।


নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে রেলখাতের সম্পদ ধ্বংস করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,
আসলে ওরা সন্ত্রাসী দল, ওরা এটা ছাড়া কিছুই বোঝে না। এদের কাজই হলো ধ্বংস করা।
বিএনপি বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রেলখাতকে প্রায় বন্ধের পথে নিয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, যে যত পরামর্শ দিক না কেনো এই মাটি ও মানুষের ভালোমন্দ বুঝি। কে কোন পরামর্শ দিলো, তা শুনে উন্নয়ন করে না আওয়ামী লীগ সরকার। আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গল-অমঙ্গল বুঝে বা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছি আমরা।আওয়ামী লীগ ২০১৪ এর নির্বাচনে সরকারে আসার পর রেলের ব্যাপক উন্নয়নে হাত দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে দেশের যতটুকু উন্নয়ন করে, বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে সেগুলো নষ্ট করে।

তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক যোগাযোগ এবং বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য রেলখাতকে নিয়ে বেশকয়েকটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। পদ্মা সেতু থেকে একেবারে বরিশাল, ঝালকাঠি বরগুনা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ করব। সেখানে খাল-বিল বেশি থাকায় মাটি নরম হওয়ায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। তবে এখন আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছি আমরা। নতুন এসব লাইন ডুয়েল গেজ হবে।