বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ চায় তারা তাদের যোগ্যতানুযায়ী ন্যায্য অধিকার পাবে। আজ সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমন পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষও আছে। এ দেশে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই, সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যেই বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা মঞ্চে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান আরো বলেন, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে। আমাদের যেকোনো মূল্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই। শান্তি চাই।

তিনি বলেন, ’৭১ এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ২০২৪ সালে তেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল। বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা তাদের গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

তিনি আরও বলেন, সকলে মিলে দেশ গড়ার সময় এসেছে। এ দেশে পাহাড়ের, সমতলের, মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, পুরুষ, শিশু যেই হোক না কেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে, যেন নিরাপদে ফিরতে পারে।

তারেক রহমান বলেন, যে মানুষগুলোর জন্য আমার মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন উৎসর্গ করেছেন সেই মানুষগুলোকে ছেড়ে আমি কোথাও যেতে পারি না। আমরা যে দলের, যে ধর্মের যে জাতের মানুষই হই না কেন, সকলে মিলে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন নারী, পুরুষ, শিশু সকলেই নিরাপদ থাকতে পারে। আমরা একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যে বাংলাদেশে একজন নারী, একজন পুরুষ, একজন শিশু নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে আবার নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে। সবাই মিলে আজ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, সবাই মিলে করব কাজ, গড়ব মোদের বাংলাদেশ।

দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানিয়ে, যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন তিনি।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বাংলাদেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে। কুড়িল মোড়সংলগ্ন এলাকায় ৪৮ ফুট বাই ৩৬ ফুটের একটি বিশাল মঞ্চ তৈরি করা হয় এ উপলক্ষে।