বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আশ্বাসে বঙ্গভবনের সামনে থেকে সরে গেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী ও জনতা। দুই দিনের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম বঙ্গভবনের সামনে এ কথা বলেন।
এরআগে, রাতে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
এতে বেশ কয়েকজন আহত হন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
এ অবস্থায় পুলিশের আরও একটি দল বঙ্গভবন এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তখন আন্দোলনকারীরা তাদের ধাওয়া দেন। পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া খেয়ে স্টেডিয়ামের দিকে চলে যান। পরে বিভিন্ন এলাকা থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মিছিলসহ শতশত লোক বঙ্গভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন।
তারা পুলিশের বিভিন্ন যানে হামলার পাশাপাশি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল থেকে আন্দোলনকারীরা বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নেন।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে গণজমায়েত করে রাষ্ট্রপতিকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে পদচ্যুত করাসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।