বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ’র সই জাল করা হয়েছে এমন অভিযোগ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আমাদের কোনো সিস্টেম-বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্ক নেই।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে আমার মিথ্যা সাক্ষর ব্যবহার করে নোটিশ পাঠানো এবং সাধারণ জনগণকে হয়রানির অভিযোগ আসছে। এমনকি, স্কলারশিপে জাপানগামী একজন ব্যক্তিকে আমার সাক্ষর ব্যবহার করে ইমিগ্রেশনে আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মানুষের কাছ থেকে এমন কার্যকলাপ হতাশাজনক।

‘সাক্ষর জালিয়াতি বাংলাদেশের আইনে একটি ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের সাক্ষর ব্যবহার করে কেউ এমন প্রতারণা করলে দেশের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের গণঅভ্যুত্থানের মূল স্পিরিটের পরিপন্থী হওয়ায় তদবির, মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও চাঁদাবাজি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, যারা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনি কাঠামোর আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

আমাদের কোনো সিস্টেম-বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।