প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রসীমা সম্পদ আমাদের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহারে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যাক্ট- ১৯৭৪ প্রণয়নের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়ে যাননি সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা অধিকার প্রতিষ্ঠায় আইনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আগামীতেও করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রসীমা সম্পদ আমাদের অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধুর সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি এবং আওয়ামী লীগের পদক্ষেপে সমুদ্রসীমার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে।
তিনি বলেন, সবার সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে শত্রুতা নয় এ পররাষ্ট্রনীতি ধারণ করে সমুদ্র সম্পদ আহরণ করায় সচেষ্ট থাকবো।
শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২১ বছর সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি করে গিয়েছিলেন। সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। তবে পরবর্তীতে সেটা কার্যকর করা হয়নি। এর ২১ বছর পর আমরা সরকারে এসে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি।
সমুদ্র উপকূলবর্তি এলাকার উন্নয়ন চলমান রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের মতো পায়রা বন্দর আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আমরা কারো সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে না, কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার সক্ষমতা আমাদের থাকতে হবে। স্বাধীন দেশে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যা করার প্রয়োজন সেটা করে যাব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। আমরা আবার সেখান থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। আমরা চাই, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবো। মর্যাদা নিয়ে চলবো। সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে রেখেছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, খনিজ সম্পদসহ সব আমাদের উত্তোলন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে। এজন্য যথাযথ বিনিয়োগও প্রয়োজন। এজন্য আলাপ আলোচনা করছি। আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি। আমরা বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সামর্থ্য থাকতে হবে। ফোর্সেস গোল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বিনিয়োগ করে আপনারাও লাভবান হবেন।