বাংলাদেশ ও আমেরিকার সম্পর্ক কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সে বিষয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। আজ বুধবার (১৭ই জানুয়ারি) বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে প্রথমবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পিটার হাস।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা উভয় দেশ আমাদের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। আমাদের স্বাধীন দেশের ৫২ বছরের পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের বড় উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। বাণিজ্য খাতেও তারা আমাদের বড় অংশীদার। আমাদের ‘বিজনেস বাস্কেট’ আরও সমৃদ্ধ করা ও যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে।
নানা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সর্ম্পকের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জঙ্গিদমনে এবং বিশ্বব্যাপী ‘ফ্যানাটিজম’ মোকাবিলায় আমরা দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও কাজ করবো সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমরা সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি, আজ আবারও তা পুণর্ব্যক্ত করেছি। তারা আগে থেকেই এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করে আসছে, আমরা একযোগে কাজ করার বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, গত নির্বাচনে মার্কিন পর্যবেক্ষকদের পাঠানোর জন্য ধন্যবাদ দিয়ে আমি তাকে সুষ্ঠু, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়েছি যেখানে শীত ও কুয়াশা সত্ত্বেও প্রায় ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে, যেটি একটি ভালো ভোটার টার্ন-আউট।
‘নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র’: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, ওয়াশিংটন আগামী দিনে বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আমাদের পারস্পরিক স্বার্থকে এগিয়ে নিতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কীভাবে ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করবে সে বিষয়ে নতুন মন্ত্রীর সঙ্গে তার একটি সূচনা বৈঠক হয়েছে।
বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের ভবিষ্যত, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রোহিঙ্গাদের মতো পারস্পরিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কিভাবে একসাথে কাজ করব সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি, জানান পিটার হাস।