সরকারবিরোধী আন্দোলনের জন্য সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা চলছে জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আজ শুক্রবার (তেসরা জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় গণতান্ত্রিক দল জাগপা’র আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে থাকে তারা কী ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। এটা আদায় করতে হবে, সেটা জনগণের শক্তিতেই আদায় করতে হবে। আমাদের তো কোনো শক্তি নেই, শক্তি একটাই সেটা হচ্ছে জনগণ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যে ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সেই ঐক্য প্রক্রিয়াকে আমরা সবাই সফল করি। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি যে, এটা দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলের, বাম-ডান হোক, যেটাই হোক আমরা তাদেরকে একখানে নিয়ে এসে এই ভয়াবহ যে সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে তার থেকে আমরা মুক্ত হই।’
সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে গত ২৪ মে থেকে বিএনপি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে। এরমধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন, সাইফুল হকের বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব সংলাপ করেছেন। এ ছাড়া, ২০ দলীয় জোটের বাংলাদেশে লেবার পার্টি ও কল্যাণ পার্টির সঙ্গেও সংলাপ শেষ করেছে তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) অতীতে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। গত ১৫ বছর ধরে তারা আবার অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে। এখানে তারা বিচার বিভাগ, প্রশাসন, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে। তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করে দিয়েছে।’
‘সেই কারণে আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। এখানে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ একটা সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে এবং সেই সরকারের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাগপার প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
AR/ramen