বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া না হলে সরকারকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম সরকারের উদ্দেশে বলেছেন,  ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই- দেশনেত্রীকে মুক্ত করুন। অন্যথায় আপনাদের (সরকার) যেকোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। এ দেশের মানুষ কখনোই তাকে (খালেদা জিয়া) এভাবে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী অবস্থায় চলে যেতে দেবে না। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান, পুলিশ বাহিনীর প্রধান, এনবিআর কর্মকর্তা দুর্নীতিতে জড়ালেও রাঘব বোয়ালদের ধরা হচ্ছে না।

সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  বলেছেন, র‌্যাব পুলিশ সরে গেলে সরকারের পতন ঘটবে। এই সরকার দেশ-জাতির শত্র“, তাদের থেকে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।

এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জীবনহানির আশঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তিনি অসুস্থ মানে দেশও অসুস্থ হয়ে গেছে। তিনি মুক্তি পেলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তার মুক্তির স্বার্থে কারোর সঙ্গে আপোষ চলবে না। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ বলেন, দেশে আইনের শাসন নেই। আওয়ামী লীগ সরকারি কমকর্তাদের সুযোগ নিয়ে, ভোট চুরি করে ক্ষমতা দখল করেছে। অথচ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা বন্দী রাখা হয়েছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, এই সরকার জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে। সরকারের নিযুক্ত পুলিশ প্রধান, সেনাপ্রধান দুর্নীতি দায়ে অভিযুক্ত। খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা সরকারের আসল অভিযোগ।

এছাড়াও সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখেন।