১০ই নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনটির আমীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আটক দলটির নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিয়ে অবিলম্বে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের সরকার যখন যা খুশি করবে আর এ দেশের জনগণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে তা হতে পারে না। ২০১৪ আর ১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।
রেজাউল করিম বলেন, আজ ৩ নভেম্বর। আজ সরকারের মেয়াদ শেষ। এ কারণেই আজকের দিনকে মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেছি।
এসময় তিনি ৪ দফা দাবি ঘোষণা করেন। এগুলো হলো— ১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি।
রেজাউল করিম বলেন, ‘ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই মহাসমাবেশ আজ মহাসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আমি চিন্তিত ছিলাম চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর যে দমন-পীড়ন এবং রাস্তাঘাটে বাধা দেওয়া হচ্ছে তাতে আমাদের এই মহাসমাবেশে আপনারা আসতে পারেন কি না।’
‘আজ বাংলাদেশে একটা মেসেজ চলে গেছে, ন্যায্য দাবি আদায়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পেছনে দৌড় দেওয়ার মতো দল নয়। জালিমের অত্যাচার সহ্য করে পিছু হটা দল ইসলামী আন্দোলন নয়। যদি জালিমের জুলুম এই বাংলাদেশের ন্যায় প্রতিষ্ঠায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘাম কিংবা রক্ত ঝরাতে পিছু হটবে না। আমরা হাজার ভয়ভীতি আর বাধার মধ্যেও দাবি আদায়ে প্রস্তুত,’ বলেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকেই সমাবেশস্থলে সমাবেত হন হাজার হাজার নেতাকর্মী।