সরকারের ব্যর্থতায় দেশের সীমান্ত এলাকা অস্থির হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে দলের কারান্তরীণ যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে গিয়ে এ অভিযোগ করেন মঈন খান।

এ সময় তিনি শান্তিনগরে সোহেলের বাসায় গিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক খোঁজখবর নেন।

বাংলাদেশ সঠিকপথে চললে ব্যাংকে ডাকাতি কেন হলো- এমন প্রশ্ন রেখে মঈন খান বলেন, সরকার শুধু রাজনীতিকে ধ্বংস করেনি। দেশের অর্থনীতিও ধ্বংস করেছে। সরকারের ব্যর্থতায় রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাই ব্যাংক ডাকাতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। দেশ পরিচালনায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সরকার একের পর এক আলোচনা করে গেল, কিন্তু এখন রোহিঙ্গা বিষয়টি কোথায় দাঁড়িয়েছে। এর আগেও দেশের রোহিঙ্গা এসেছিল। শান্তিপূর্ণ আলোচনা মাধ্যমে তাদের দু’বার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। একবার খালেদা জিয়ার সময় আরেকবার জিয়াউর রহমানের সময় রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরকার যেখানে হাত দিয়েছে, সেখানেই ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরা দু’টি জায়গায় সফল হয়েছে। একটি হলো বিরোধী দলকে দমন, আরেকটি এ দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার করতে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিতে। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিরোধী দলের প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক লাখের ওপর মামলা দিয়েছে।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি বিএনপির ওপর জুলুম না করে থাকে তাহলে গত ১৫ বছরে বিরোধীদলের প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একলাখের ওপর মামলা দিলো কেন? যারা সরকারের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছে, সরকারের অন্যায় কাজের সঙ্গে সমালোচনা করলে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার একের পর এক মামলা দিচ্ছে। আপনারা দেখেছেন গত ২৮ অক্টোবরের পরে আমাদের মহাসচিবসহ ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করেছে। কেন করা হয়েছে? সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, তাদের কারারুদ্ধ করা না হলে এভাবে সাজানো গোছানো গায়ের জোরের নির্বাচন করতে পারবে না।

মঈন খান বলেন, সরকার নির্বাচন কীভাবে করে, সেটা তো বিশ্ববাসী জানেন। সাজানো গোছানো প্রহসনের নির্বাচনের জন্য তো বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। সাজানো গোছানো নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করছে। বন্দুক দিয়ে ক্ষমতা পাওয়া তো অবাক করা বিষয় নয়। সারা বিশ্বের ইতিহাসে তা অনেক হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব ইতিহাসে এটাও আছে যে, বন্দুক দিয়ে ক্ষমতা দখল করে ও মানুষকে নির্যাতন করে বেশি দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।