চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সাথে সরকারের ব্যর্থতাই এ ঘটনার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আজ রোববার (০৫ই জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় ওই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন ও নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন মির্জা ফখরুল।

এসময় তিনি বলেন, ‘যদি একটি কন্টেনাইনার ডিপোতে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে যে কোন দুর্ঘটনা মোকাবেলায় ভূমিকা রাখা যায় না। এই সরকার পোর্ট নিয়ে শুধু উন্নয়নের কথা বলে কিন্তু বাস্তাবে এ ঘটনাই প্রমাণ করে তারা (আওয়ামী লীগ) উন্নয়নের কথা বলে মিথ্যাচার করছে।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছে অনেকেই। তাদের অক্সিজেনসহ পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। এই সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সেই সাথে উন্নয়নের জন্য একটি আধুনিক কন্টেইনার পোর্ট তৈরি করতেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। সর্বোপরি এই সরকার সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ সরকার হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।’

বিএনপি জোটগত আন্দোলন করছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন করছে। যেখানে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তার নিজস্ব অবস্থানে থেকে আন্দোলনে অংশ নেবে। প্রয়োজনে আন্দোলনের ধারার মধ্য দিয়ে নির্ধারিত হবে রাজনৈতিকদলগুলো জোটবদ্ধ হবে কিনা। ২০ দলীয় জোট নয়, এখন এককভাবে আন্দোলন করছে বিএনপি এবং অন্য দলগুলোকেও এককভাবে আন্দোলন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ সময় বাজেট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি প্রতিবছর বাজেট ভাবনা দিতো। কিন্তু সেটি গুরুত্ব ও ব্যবহার করা হয় না। এখন বাজেট করা হয় কিছু সংখ্যক লোককে ধনী করার জন্য, যেখানে বড়লোকেরা আরও বড়লোক হবে আর গরীবেরা আরও গরীব হবে।

এ মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ জুন) রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পর পর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণে কেপে ওঠে চারপাশ, সেই সাথে ছিল আগুলের লেলিহান শিখা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ৯জন কর্মীও। হতাহত প্রায় ৪ শতাধিক।