স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আড়ালে স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র দেশব্যাপী নাশতকা করেছে। কমলমতি শিশুদের ব্যবহার করে তারা এই ধ্বংস লিলা চালিয়েছে। সহিংসতাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মদতদাতা, উস্কানিদাতা এবং যারা ফায়দা লুটতে চেয়েছে তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ চাইলেই নাশকতাকারীদের গুলি করে হত্যা করতে পারতো, কিন্তু এতে সম্ভাবনাময় অনেক প্রাণ ঝড়তো। তাই ধর্য্যের পরিচয় দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও জঙ্গি গোষ্ঠি একজোট হয়ে সরকার হটাও আন্দোলনের রূপ দিতে চেয়েছিলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্ত অবস্থানের কারণে সেটি করতে না পেরে দেশব্যাপী রাষ্ট্রিয় সম্পদ ক্ষতিসহ দেশের মানুষকে একঘরে রাখার চেষ্টা করেছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক; দ্রুত সময়ের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাজহাট থানা, ডিসি ক্রাইম ও ডিবি অফিস, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, মহানগর শ্রমিকলীগ অফিস এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। পদ্মাসেতুর গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল সেতু ভবনে। সেখানে আগুন দেওয়া হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসের টোলপ্লাজায় আগুন দেওয়া হয়েছে।  আমরাও নানা আন্দোলনে ছিলাম। কখনো দলীয় অফিস, থানা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করিনি।

সভায় ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি টিপু মুনশি, রংপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য জাকির হোসেন, রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসাদুজ্জামান, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাংগীর আলম, পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

এর আগে রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ ও ডিবি কার্যালয়, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।