কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘিরে যারা সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছিল তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ বুধবার (২৪শে জুলাই) রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের সদর দপ্তরে দুর্বৃত্তদের ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণসমাধ্যমের সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে সবগুলো ঘটনায় কারা জড়িত ছিল সেটি বের করে আনবে। সরকার সহিংসতার অপরাধে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে চায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বহু সরকারি স্থাপনায় দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে এসব হামলা করেছে। এরই মধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সব সত্য বের হয়ে আসবে।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিটিভির অভ্যন্তর পরিদর্শন করে মনে হয়েছে এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। সহিংসতার সময় বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ার্ত কন্ঠে ফোন করে তাদের জীবন রক্ষার জন্য অধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠাতে বলেছে। তাদের জীবন ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে ছিল। আপনারা আক্রমণের ধরন দেখেছেন। তারা ভবনে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি, কিন্তু তাদের গুলি করার নির্দেশনা ছিল না। কারণ সরকার অধিক সংঘর্ষ, হতাহত ও প্রাণহানি হোক সেটা চায়নি। এমনকি আমাদের সহকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও আমরা চরম ধৈর্য দেখিয়েছি।

তিনি বলেন, সবগুলো হতাহত ও প্রাণহানির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। আমরা বারবার বলেছি রাজপথে ছাত্রদের যে দাবি, একই কারণে সরকার আদালতে লড়াই করছে। আমরা ছাত্রদের ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম এবং একটি ভালো ফলাফল আশা করছিলাম এবং তাদের আশাহত না হতে বলেছিলাম। চূড়ান্তভাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে আপনারা সেটিই দেখেছেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তন্ময় দাস ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।