একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও বঙ্গবন্ধুর সাবেক প্রেস সচিব তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহ: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (পহেলা অক্টোবর) আলাদা বার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ। তার মৃত্যুতে দেশের সাংবাদিকতার অঙ্গনে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। রাষ্ট্রপতি হামিদ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আরেকটি বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তোয়াব খান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামানের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।

তিনি সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার রয়েছে সাংবাদিকতায় সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান তোয়াব খান। বাংলা একাডেমি সম্মানিত ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন একই বছর।