শুরু হলো সাগরে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে মৎস্য বিভাগ। এমন খবরে উপকূলের জেলেদের চোখে-মুখে পড়তে শুরু করেছে কষ্টের ছাপ! নিষেধাজ্ঞার কারণে গভীর সমুদ্র থেকে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাতের মধ্যেই অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার পাথরঘাটা বিএফডিসিসহ বিভিন্ন ঘাটে এসেছে। এসব ট্রলারের জেলেরা দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছেন।

বছরজুড়ে ইলিশের আকাল থাকায় এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছেন জেলেসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত জেলেদের প্রত্যেককে সরকারি সহায়তা করা হবে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোসহ নিষেধাজ্ঞাকালীন গভীর সাগরে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা এ দেশের জলসীমানায় প্রবেশ করতে না পারেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, উপজেলায় ১১ হাজার ৪১১ নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। নিষেধাজ্ঞাকালীন কর্মহীন এসব জেলেদের প্রত্যেককে দুই ধাপে ৮৬ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। যা প্রথম ধাপে ৫৬ কেজি করে দেওয়া হবে এবং এ কার্যক্রম ১০ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।