মধ্যরাত থেকে সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা ৬৫ দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন, প্রজনন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের লক্ষ্যে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

দেশের মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৪ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করে আসছে। নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসতেই ইতোমধ্যেই তীরে ফিরেছেন বিভিন্ন এলাকার সমুদ্রগামী জেলেরা।

মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শনিবার মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।

গত ১১ মে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছের নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করে মত্স্যসম্পদ বৃদ্ধি করাই এ নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য। এ সময় সব বাণিজ্যিক মৎস্য ট্রলারের সমুদ্রে যাওয়া বন্ধ রাখা হবে। স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও সশস্ত্র বাহিনী মাছ ধরা বন্ধ রাখার কাজে সহায়তা করবে।

এদিকে, সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকার সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে অতিরিক্ত ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকবে সুন্দরবন অঞ্চলে। ২০শে মে থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস ১২ দিন মাছ ধরা বন্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর।