সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে ভয়াবহ ওই হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ এখনও শেষ হয়নি। আসামিদের সময়মতো আদালতে হাজির করতে না পারাসহ বিভিন্ন জটিলতায় থেমে আছে বিচারকাজ। এতে ক্ষোভ জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন এবং স্থানীয়রা।
২০০৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন নিহত হন। আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবু জাহিরসহ ৪৩ জন।
এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকদফা তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ৩৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ৯ বছর পর সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হলেও এখনো তা শেষ হয়নি। ফলে ক্ষোভ বেড়েছে নিহতদের স্বজনদের মাঝে।
বাবার হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া।
কিবরিয়া হত্যা মামলায় ১৭১ জন সাক্ষির মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ৪৭ জন। বিচারে ধীরগতির পেছনে আসামিদের সময়মতো আদালতে হাজির করতে না পারাসহ নানা জটিলতার কথা জানান সরকারি এই আইনজীবী।
চাঞ্চল্যকর এই মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৩ জনের অন্য একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আরেক আসামি হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন। এখন ২৮ জন আসামি রয়েছেন। এর মধ্যে জামিনে আছেন ১২ জন। পলাতক রয়েছেন ৬ জন এবং হাজতে আছেন ১০ জন। সিলেট দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিস্ফোরক মামলাটিও বিচারাধীন।