আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অগণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন আজকের দিনের শপথ হবে বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সুসংহত করতে বাঁধা হয়ে আছে তাদেরকে পরাজিত করতে হবে। এই অপশক্তিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিহত করব।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক হয়। এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না। আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠ করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক? এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব।
তিনি বলেন, সেটা হচ্ছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট এই অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিল। আর কারো কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতার ঘোষক হাওয়ার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমাদের এদিনের শপথ– বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিহত করব, পরাজিত করব।
ভারতবিরোধিতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এই বিরোধিতা পাকিস্তান আমলের। যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু, এখনো সেটা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না।
প্রতি বছর ২৬ মার্চ ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ স্মৃতি নিয়ে আসে ২৫ মার্চের কালরাত। ১৯৭১ সালের এ রাত থেকে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী অগ্নিপরীক্ষার সূচনা হয়েছিল। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমনপীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বরে তার বাসভবন থেকে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশ। জন্ম লাভ করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।