করোনা অতিমারির কারণে দু’ বছর বিরতির পর এবার অনুষ্ঠিত হলো বই উৎসব। বছরের প্রথম দিনে বই হাতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। যদিও অব্যবস্থাপনার কারণে উৎসবে ছন্দপতন হয়েছে। এক শ্রেনীর শিক্ষার্থীর হাতে অন্য শ্রেনীর বই দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। কোনো কোনো শিক্ষার্থী একটি বই পয়েছেন। আবার কোনো কোনো শিক্ষার্থী একটিও বই না পেয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। ছিল বইয়ের ঘাটতিও। নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য ৩৪ কোটি বই মুদ্রণের লক্ষ্যথাকলেও, এখন পর্যন্ত মুদ্রিত হয়নি ৯ কোটি বই। যেসব শিক্ষার্থী বই পেয়েছেন তারা উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন।

নতুন বছর নতুন শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে নতুন বই হাতে পাওয়ার এই উৎসব আনন্দের। যারা নতুন বই হাতে পেয়েছে, তাদের আনন্দ আর উচ্ছাসই অন্যরকম। নতুন বইয়ের ঘ্রাণেমেতে ওঠে তারা।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলে ৯ কোটির মতো বই এখনও মুদ্রণের অপেক্ষায়। তবু শিশুদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিভিন্ন শ্রেনীর বই। এক শ্রেনীর শিক্ষার্থীর হাতে অন্য শ্রেনীর বই তুলে দেয়া হয়েছে। তাই উৎসবে আসা শিক্ষার্থীরাও সবাই পায়নি নতুন বই। অনেকেই কিছুটা হতাশা নিয়ে ফিরে গেছে বই না পেয়ে। শিক্ষকরাও বললেন, সব বই পায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিকের প্রায় ৫ কোটি বই ও মাধ্যমিকের ৪ কোটি বই ছাপা হয়নি এখনও।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বললেন, এ মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীরা সব বই পেয়ে যাবে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের দুই কোটি আঠারো লাখ তিন হাজার ত্রিশজন শিক্ষার্থীর মধ্যে নয় কোটি ছেষট্টি লাখ আট হাজার দুইশত পঁয়তাল্লিশটি বই বিতরণ করা হবে। এ অনুষ্ঠানে সাফ জয়ী চারজন নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।