তীব্র তাপদাহের পর রোববার দেশের কয়েক জেলায় বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। রাজধানীর কিছু এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও দক্ষিণাঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। পিরোজপুর, পটুয়াখালী ও ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে কয়েকশ বাড়িঘর। গাছ পড়ে তিন জায়গায় নিহত হয়েছে তিন জন।কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৭ জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে আবারো তাপদাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন ও মনপুরায় কালবৈশাখী ঝড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২০০ ঘরবাড়ি আংশিক এবং অর্ধশত সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ে ও বজ্রপাতে দুজন, খুলনার ডুমুরিয়ায় বজ্রপাতে একজন, ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বজ্রপাতে তিনজন, নেত্রকোনার রাজঘাট হাওরে বজ্রপাতে একজন, পিরোজপুর সদরে কালবৈশাখীতে একজন ও বাগেরহাটে বজ্রপাতে একজন মারা গেছেন। এছাড়া রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এটি প্রাথমিক হিসাব। মৃতের সংখ্যা ঠিক থাকলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।