দেশজুড়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে কমে এসেছে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার। বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে এখনো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৩০শে জানুয়ারি) সকালে তেতুঁলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়াও ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে নৌ ও সড়ক যোগাযোগ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় অনেক এলাকায় স্কুল বন্ধ আছে।
মাসের শেষ দিন বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির পর বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়লে তাপমাত্রাও বাড়বে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে জানিয়েছে আওহাওয়া অফিস।
এ ছাড়া বুধবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পেতে পারে এবং দিনে সামান্য হ্রাস পেতে পারে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনে সামান্য হ্রাস পেতে পারে।কুয়াশার বিষয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল অস্থায়ীভাবে ব্যাহত হতে পারে।এদিকে মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা বিভাগরে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বুধবার ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগরে দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আর মঙ্গল ও বুধবার দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত অবস্থান করছে।