বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ বাফুফের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চারমাসের মধ্যে ফিফা ও সরকার থেকে যেসব টাকা পেয়েছে তা কি করা হয়েছে তার হিসাব তদন্ত করে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিদেশি ফান্ডের টাকা পাবলিক ফান্ড হিসেবেই বিবেচিত। তাই ওই টাকার হিসাব থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আদালত। অভিযোগ অনুসন্ধানে বাফুফের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর আগে, বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে রবিবার ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টে রিট করেন। সোমবার রিটের ওপর শুনানি হয়। রিটের পক্ষে ব্যারিস্টটার সুমন নিজেই শুনানি করেন। বাফুফে কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন ও ব্যারিস্টার মারগুব কবির। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।।
ব্যারিস্টটার সুমন বলেন, “ফিফার টাকা আত্মসাত করায়, বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয় থাকায় আমি রিট করি। হাইকোর্ট রিটের শুনানি করে ফিফা থেকে পাঠানো এবং বাংলাদেশ সরকারের যে টাকা বাফুফের ফান্ডে এসেছে, হাইকোর্ট সেই ফান্ডের বিষয়ে দুর্নীতি, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাত ও পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুদককে অনুসন্ধান করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।”
এর আগে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এতে ফল না পেয়ে তিনি রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।