স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ায় বড় ধরণের হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গত দুইদিনে দামেস্কসহ আড়াইশ’র বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে তারা। ধ্বংস করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিমানবন্দর ও সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবকাঠানো।
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে কাতার, সৌদি আরব ও ইরাক।
সিরিয়ার অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কৌশলগত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরাইল। সীমান্তবর্তী গোলান মালভূমির বাফার জোন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর সিরিয়ার অংশে থাকা হারমন পর্বতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তেল আবিব। এটি সামরিক অবস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলে মনে করা হয়।
এসওএইচআর বলছে গত দুই দিনে সিরিয়ায় শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বিমান। এর মধ্যে একটি দামেস্কের একটি সাইট আছে যেটি ইরানের বিজ্ঞানীরা রকেট উন্নয়নর কাজে ব্যবহার করতো।
এই হামলা এমন সময় হলো যখন জাতিসংঘের রাসায়নিক অস্ত্র সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ থাকলে তা নিরাপদ রাখার বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
জাতিসংঘের অর্গানাইজেশন ফর দ্যা প্রহিবিশন অফ কেমিক্যাল উইপনস (ওপিসিডব্লিউ) এর মতে রাসায়নিক অস্ত্র বলতে তাই বোঝানো হয় যে রাসায়নিক দ্রব্য ইচ্ছাকৃতভাবে কারো মৃত্যু বা ক্ষতি করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ, এমনকি সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করার ক্ষেত্রেও। কারণ এই অস্ত্র ছড়িয়ে পড়ে, কোনো সুনির্দিষ্ট টার্গেটে সীমাবদ্ধ থাকে না।
সিরিয়ার কতগুলো বা কোথায় রাসায়নিক অস্ত্র আছে তা জানা যায়নি। তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ এ ধরনের অস্ত্র মজুদ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এ বিষয়ে তিনি যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটিও ছিল অসম্পূর্ণ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর প্রায়শই ইসরাইল সিরিয়ায় বিমান হামলা করেছে। লেবানন ও সিরিয়ায় হেজবুল্লাহ ও অন্য গোষ্ঠীগুলোর সাথে পাল্টাপাল্টি হামলার সময় সিরিয়ায় এসব হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
গত মাসেই যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এসওএইচআর বলেছে পালমিরার কাছে বিভিন্ন জায়গায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে অনেকবার বিমান হামলা করেছে। এতে ৬৮ সিরিয়ান ও অন্য বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছিলো।