সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে একটি কারখানায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন সরকারপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সোমবার (৩ জুন) সকালে এ তথ্য জানিয়েছে।
সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা জানিয়েছে, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেশটিতে দ্বিতীয়বার হামলার ঘটনা ঘটলো।
সামরিক সূত্রে জানা গেছে, রবিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলেপ্পোর উত্তরে হাইয়ান শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি কারখানায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এই হামলায় সিরীয় ও বিদেশি নাগরিকসহ ১২ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস পর্যবেক্ষক সংস্থাটির কার্যালয় ব্রিটেনে হলেও, সিরিয়ায় তাদের বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, হামলার ফলে সৃষ্ট আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী ও দমকল বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্যরাতের পর ইসরায়েলি শত্রুরা আলেপ্পোর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের বেশকিছু অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম অনুসারে, গত ২৯ মে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের পাশাপাশি উপকূলীয় শহর বানিয়াসে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশু নিহত ও ১০ বেসামরিক লোক আহত হয়।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহসহ সেনাবাহিনীর অবস্থান ও ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে শত শত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
২০১১ সালে দামেস্কে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের ঘটনায় দেশটিতে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এই যুদ্ধে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করায় দেশটিতে তেহরানের প্রভাব বেড়েছে।
এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাসের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের তিনজন সিনিয়র কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক উপদেষ্টা নিহত হয়েছিলেন। ইসরায়েলি হামলার পর ইরান ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এর প্রতিশোধ নেয়।