সিলেটের ওসমানীনগরের জবেদ আলী হত্যা মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শায়লা শারমীন এ আদেশ দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী, সিলেট জজ কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার মাধবপুর গ্রামের নজমুল আহমদ, ফুজায়েল আহমদ, ছানাওর আলী, আতিক মিয়া, বদনুল মিয়া, সাজন মিয়া, সুমন মিয়া ও ছাইদুর রহমান।

বাদিপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী জানান, ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল বালাগঞ্জ উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণশাষন গ্রামের জবেদ আলীর (৪৫) মরদেহ তার শ্বশুড়বাড়ি ওসমানীনগরের মাধবপুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে ছয় জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের ভাই শারজান আলী।

পুলিশ এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে এই মামলায় আরো ৩ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ৩ জনের মধ্যে কামরান মতিন রাফে নামের এক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

চাঞ্চল্যকর এই মামলায় ওসমানীনগর থানার পুলিশ ২০১৪ সালের ৪ আগস্ট ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালত স্থানান্তরিত হয়। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর মামলা চলাকালে চার্জশিটে উল্লেখিত মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের স্বাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। বিচার চলাকালেই কামরান মতিন রাফে নামের এক আসামী মৃত্যুবরণ করে। গত ৩০ নভেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন হওয়ার পর আদালত রায়ের তারিখ ধায্য করেন। সোমবার প্রদত্ত রায়ে এই মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের বেকসুর খালাস প্রদান করেন আদালত।

আসামি পক্ষের আইনজীবি বলেন, বাদি পক্ষ আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমান করতে পারেননি। বিধায় আদালত সকল আসামীদের বেকসুর খালাস প্রধান করেছেন।

অপরদিকে বাদিপক্ষের দাবি তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। উচ্চ আদালতে যাবার কথা ভাবছেন বলে জানান তারা।