বৃষ্টি কমে এলেও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। সিলেটের বুক চিড়ে বয়ে চলা সুরমা নদীর পানি বাড়ায় নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করে। নগরের সহস্রাধিক বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। নগরে সিলেট সার্কিট হাউস, তালতলা, কালিঘাট, বেতবাজার, তেরতন, শাহজালাল উপশহরসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো নগরবাসী।

পানি বৃদ্ধির কারণে সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার কালিঘাট, তালতলা, কাজিরবাজার, বেতবাজার, শাহজালাল উপশহর, সোবহানিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, ঘাসিটুলা, মাছিমপুর, তেরতন, হবিনন্দী, সাদিপুরসহ বিভিন্ন এলাকা পানি উঠে। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানে পানি ঢুকেছে।

এদিকে সিলেটের প্রধান দুই নদীসহ চার নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী তীরবর্তী অনেক নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে পানিতে। সিলেটের ৬টি উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সেখানকার মানুষ।

সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ ও সিলেট সদর এই ছয় উপজেলার নদীগুলোতে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ি আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল এবং ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এতে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।