সিলেটে ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্লাবিত সব এলাকা থেকেই নামতে শুরু করেছে পানি। কমতে শুরু করেছে সুরমা নদীর পানি। কুশিয়ারার পানি দু’টি পয়েন্টে বাড়লেও অন্যান্য স্থানে কমছে। সিলেট শহরসহ প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরগতিতে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা এবং যাদুকাটা নদীর পানিও কমছে। তবে পানি কমা শুরু হলেও জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেনি। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ভুগছে বন্যাকবলিতদের অনেকে। বাড়ছে পানিবাহিত নানা রোগ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে আগামী তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হবে। আপাতত আর বড় ধরনের বন্যার শঙ্কা নেই বলেও জানিয়েছে তারা।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা জানান, ‘সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ সেন্টিমিটার কমেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পরিমাণ কমে এসেছে। কয়েকদিন ধরে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছিল, সেখানে গতকাল হয়েছে মাত্র ২৫ মিলিমিটার।’

পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে। তবে পানি পুরোপুরি নেমে যেতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর (পুর) দপ্তরের সিলেটের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পুর) এস এম শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বন্যার পানি কমছে। ফলে সিলেটে আর বন্যা পরিস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় আরও পাঁচদিন পানিবন্দি থাকতে হবে সিলেটবাসীকে।’

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও এখনও সুপেয় পানির সংকট রয়েছে সিলেট নগরীতে। বন্যায় নগরীর মেন্দিবাগে সিটি করপোরেশনের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি তলিয়ে যায়। এ ছাড়া পানির নিচে চলে যায় চারটি পাম্পও। ফলে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট প্রকট হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী (পানি) আবদুস সোবহান বলেন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ময়লা পানি প্রবেশ করায় সেটি চালু করা যাচ্ছে না। সিটি করপোরেশনের পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা পাম্পগুলোও পানির নিচে। চারটি পাম্পই বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে পাম্পগুলো দ্রুত সচল করা হবে।