উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সিলেট নগরসহ পুরো জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সিলেট সদর ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে ক্রমাগত পানি বাড়ছে। বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি উঠছে।

বন্যার পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় যত সময় যাচ্ছে ততই সিলেট নগরের নতুন নতুন এলাকার বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নগরের ছড়ারপারস্থ বাসভবনসহ নগরের প্রায় ৬০ ভাগ বাসাবাড়ি ও দোকানে বন্যার পানিতে হাঁটুজল দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী।

এ অবস্থায় মঙ্গলবার সিলেট সিটি করপোরেশন বন্যা দুর্গত নাগরিকদের জন্য ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে। গঠন করেছে দুটি মেডিকেল টিম। সিলেট নগরেই প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সিটি করপোরেশনের সবগুলো ওয়ার্ডে ১২৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া বুধবার নগরের তিনটি এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা এবং দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।