সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ৩৩২ রান তাড়া করতে নেমে পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনেই কিউইদের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ১৮১ রানে। ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টেস্টের স্মরণীয় জয়টি পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবার কিউইদের তাদের মাটিতে হারানোর কীর্তি গড়েছিল। এবার ঘরের মাঠে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ।
অসাধারণ এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান তাইজুল ইসলামের। তার ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিন সফরকারীরা ৩৩২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৩ রানে হারায় ৭ উইকেট। যার চারটি নেন তাইজুল। পঞ্চম দিন জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল তিন উইকেটের। সেখানে মিচেল বেশকিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করে ফিফটির দেখা পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। নাঈম হাসান তাকে ৫৮ রানে থামালে বাংলাদেশ জয়ের কাছাকাছি চলে আসে। কিন্তু নবম উইকেটে সাউদি বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কমাতে থাকেন রানের ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত তাকে ৩৪ রানে থামিয়ে জয়টা তরান্বিত করেছেন তাইজুল। এই বামহাতি তার পর সোধিকে ফিরিয়ে লেজ ছেঁটে দিলে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় স্বাগতিক দল।
আজ সকালে সিলেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না। প্রথমে বড় বাধা হয়ে থাকা ড্যারিল মিচেলকে ফেরালেন নাইম হাসান। এরপর টিম সাউদিকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূরণ করেন তাইজুল ইসলাম। শেষ উইকেট হিসেবে ইশ সোধিকে ফিরিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানের ব্যবধানে হারানোর ঐতিহাসিক ক্ষণের জন্ম দিলো বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ঘরের মাঠে টেস্টে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এরপর বড় দলকে হারানোর অভিজ্ঞতা হয়েছিলো গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৩৩৮
নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৩২) ৭১.১ ওভারে ১৮১