আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী জনসভা সিলেট থেকে শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন কাদের। এ সময় তিনি ভার্চুয়ালি সিলেটের বালাগঞ্জে বড়ভাঙা সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গত ২৮ তারিখ আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক করেছে। তারা সহিংসতা করেছে। তারা পুলিশ হত্যা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে। তাদের হাতে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়।
প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব সফর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, বর্তমান যে দুঃসময় যাচ্ছে সেটাতে সৌদি আরব আমাদের সাহায্য করবে। আর এ দুঃসময়ে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে একটি দল আন্দোলন করছে। তারা একজন নন্দিত প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে হটাতে আন্দোলন করছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোলে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেটাই করুক। আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা ৮ হাজার নেতা-কর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেওয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র, আমরা তাদের বক্তব্যে নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজখবর নিয়ে বক্তব্য দেবে এবং বক্তব্যে সংশোধন করবে। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। আমরা নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না, আমরা ভয় পাই না।
উল্লেখ্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। টানা গত ১৫ বছর ধরে সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ভোট হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এজন্য ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ জন্য তারা বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করছে। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।