সিলেট, সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বন্যার পানি আরো কমলে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢল কমে যাওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জে ধীরে ধীরে বন্যার উন্নতি হচ্ছে। শহরের বাড়ি-ঘর থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নামার পর দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এসব অঞ্চলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও কাবারের অভাব।

লালমনিরহাটে তিস্তা, ধরলা নদীর পানি বেড়ে নি¤œাঞ্চল প¬াবিত হয়েছে। পানিবন্দী জেলার ৩০টি গ্রামের ৮০ হাজার মানুষ। গাইবান্ধার নদ নদীর পানি আরও বেড়েছে। ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বেড়ে শহর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ ভেঙে গেছে। এতে পানি ঢুকছে হাওরে। শহরবাসীকে সতর্ক থাকতে মাইকিং করছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া শরীয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলার নি¤œাঞ্চলে নতুন করে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে নীলফামারীর ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার (৫২.৮৪) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২.৬০ সেন্টিমিটার। এতে তিস্তা নদী বেষ্টিত ১০টি চরগ্রাম প্লাবিত হয়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরে বন্যা পারস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সেইসঙ্গে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। তলিয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল।