রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সায়রুল কবির খান।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতি (টিপস প্রসিডিওর) সম্পন্ন করার পর গতকাল শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এখন তিনি মোটামুটি ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য।

মার্কিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার শেষে খালেদা জিয়া আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় তার যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস) প্রয়োগ করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। এখন খালেদা জিয়া কিছুটা ভালো রয়েছেন।

বোর্ডের এই সদস্য জানান, টিপস চিকিৎসার বিশেষ একটি পদ্ধতি। বুকে পানি ও রক্তক্ষরণ বন্ধে এটা প্রয়োগ করা হয়। খালেদা জিয়ার এটি ইমিডিয়েট দরকার ছিল। তবে এটিই চূড়ান্ত চিকিৎসা নয়। এখন লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি বলে জানান তিনি।

গত বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং হেপাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন ঢাকায় আসেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বসুন্ধরার ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন গত ৯ আগস্ট থেকে। গত আড়াই মাসে কয়েক দফা তাকে সিসিইউতে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হদরোগে ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে এই ‘টিপস’ এর পরে রক্তক্ষরণ ও পানি জমার উপশম হবে।