একের পর এক আকাশসীমা লঙ্ঘন, মর্টার শেল নিক্ষেপসহ সীমান্তে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ চেয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপি। ভবিষ্যতে সীমান্ত প্রটোকলে ব্যত্যয় না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
সীমান্তে উত্তেজনা শুরুর প্রায় তিন মাস পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আজ রোববার। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা বৈঠক করেন বিজিবি ও বিজিপির স্থানীয় পর্যায়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা। রবিবার (৩০শে অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের একটি রিসোর্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ ২ নম্বর বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ‘পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশ-মিয়ানমারে সীমান্ত এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতি ছাড়াও অবৈধভাবে মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ ও মাদক পাচাররোধ সম্পর্কে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই রাষ্ট্রের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আস্থা এবং নির্ভরতার পরিবেশ তৈরির জন্য ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।’
শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার আরও বলেন, ‘গত দুইমাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান ঘটনায় সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর হেলিকপ্টার উড্ডয়ন, সীমান্ত এলাকায় ফায়ারিং, জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়। এতে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি দুঃখ প্রকাশ করে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৯টায় নাফনদ সংলগ্ন সীমান্তে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বিজিবির নির্মিত সাউদার্ন পয়েন্ট রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে দু’দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।