মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির সাথে পুলিশ একসাথে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আজ (রোববার) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় আইজিপি আরো বলেন, পুলিশ হেফাজতে কারো মৃত্যুর ঘটনায় দোষ প্রমাণিত হলে যেই হোক না কেন ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশের পেশাদারিত্বের কারণে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সেজন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা করবে তা না, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ-তদন্তকেন্দ্র ও নৌ পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।’
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘এমন ঘটনা হলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মরদেহের সুরতহাল করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, ময়নাতদন্ত ও তদন্তের ভিত্তিতে যেসব তথ্য উঠে আসে সেটি নিয়ে সবসময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সামনেও এ ধরনের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ সময় সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এএসএম মাহাতাব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শাহ আমানত সেতু থেকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা পর্যন্ত বন্দর চ্যানেলের নিরাপত্তা জোরদার করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের দিকে নৌ-তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানায়। পরে ২০০২ সালে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর, রাঙাদিয়া, নগরীর চাক্তাই ও গুপ্তখাল এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গায় দুটি করে চারটি নৌ-তদন্তকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।