গত ২২ জানুয়ারি যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মো. রইশুদ্দিনের মৃত্যু ‘টার্গেট কিলিং’ নয় বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৪তম সীমান্ত সম্মেলনের শেষদিন বিজিবি-বিএসএফ ডিজির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

৫৪তম বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। পাঁচ দিনের সম্মেলনে সীমান্তে হত্যা, চোরাচালান, যৌথ নদী কমিশন ও সীমান্তের অমিমাংসিত নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সম্মেলনের শেষ দিনে ঢাকায় বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি প্রধান বলেন, সীমান্তে অপরাধ দমনে বিএসএফ এর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে কোন টার্গেট কিলিং হচ্ছে না।

বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনতে সবধরনের চেষ্টা করছেন তারা। তিনি মনে করেন, সীমান্তে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িতরা হত্যার শিকার হচ্ছে। টহলের সময় বিএসএফ সদস্যরাও হামলার শিকার হচ্ছেন। সীমান্তে নিরাপত্তা, মাদক চালান, পণ্য ও মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত কাজ করার কথা জানান বিএসএফ মহাপরিচালক।

এসময় সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মসূচি জোরদার এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মাঝে আন্তর্জাতিক সীমানা আইন সম্পর্কে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে বলেও জানানো হয় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে।