রাজধানীতে সুস্মিতা সাহা নামে এক নারী চিকিৎসক সুইসাইড নোট লিখে ‘আত্মহত্যা’ করার অভিযোগ উঠেছে। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের নাখালপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুস্মিতা মিরপুর-১৪ ডেন্টাল কলেজ থেকে সদ্য পাস করেছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার রাতে বান্ধবীর বাসাতেই তিনি ঘুমের ওষুধ খান। গুরুতর অসুস্থ তাকে অবস্থায় ইম্পালস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর সরিষাবাড়ির আরামনগর বাজারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। সুস্মিতার বান্ধবীর বাসা থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সুস্মিতা মিরপুর ডেন্টাল কলেজ থেকে সদ্য পাস করেছেন। তবে কোথাও চিকিৎসা দিচ্ছিলেন না। একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলের সঙ্গে ঝামেলার কারণেই তিনি ঘুমের ওষুধ খান। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার এক আত্মীয় ইম্পালস হসপিটালে নিয়ে আসে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি গত এক মাস ধরে নাখালপাড়ায় এক বান্ধবীর বাসায় থাকতেন।

ঘুমের ওষুধ খাওয়ার আগে তিনি চিরকুট লিখে গেছেন, যা ইতোমধ্যে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে মরদেহ পাঠানো হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া চিরকুটে লেখা ছিল, ‘….একবার আমার মুখটা দেখো। আমি একবার তোমাকে দেখতে চাই। ওষুধের রিয়েকশন শুরু হয়ে গেছে। তোমার সুখ, তোমার পাশে অন্য কাউকে দেখে আমার বাঁচা সম্ভব না। কোথাও আমাকে পেলে অপরিচিত হয়ে এড়িয়ে যেতে। সুখী হও।’