সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন আটকে পড়া ১৩৫ বাংলাদেশি। সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, সৌদি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ৪৫ জন এবং অন্যটিতে ২৫ জনকে বাংলাদেশিকে জেদ্দার বাদশাহ আবদুল্লাহ বিমান ঘাঁটিতে আনা হয়।
এতে আরও বলা হয়, সুদান থেকে আজ আরও প্রায় ৬৫ বাংলাদেশি সৌদি আরবের আরেকটি ফ্লাইটযোগে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। সুদান থেকে আসা এসব নাগরিকদের আজ রাত ১টার ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানো হবে। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় রাত একটার ফ্লাইটে জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঢাকায় ফিরবেন বলে জানিয়েছে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস।
সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, পোর্ট সুদান এলাকা থেকে তিনটি পৃথক ফ্লাইটে অন্য দেশের নাগরিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে পোর্ট সুদান এলাকা থেকে প্রথম ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
প্রথম দফায় সুদান ছাড়তে পারা প্রবাসীদের মধ্যে নারী, শিশু ও অসুস্থ যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে গত ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সংঘাতে এরই মধ্যে চার শতাধিক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে বেসামরিক লোকজন ছাড়াও জাতিসংঘ কর্মী, মিসরের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাও রয়েছেন।
সুদানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য নিবন্ধন করেছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৬৫০ বাংলাদেশি বর্তমানে পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিলেন। সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান বন্দরে নেওয়া হয় এসব বাংলাদেশিদের। সেখান থেকে জাহাজে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর অপেক্ষায় ছিলেন তারা। কিন্তু সময়মতো জাহাজ না পাওয়ায় বিমানে করে ১৩৫ জনকে জেদ্দা পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।












