টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ফের বাড়ছে নদ নদীর পানি। এরই মধ্যে সুনামগঞ্জ পৌর এলাকার লঞ্চঘাট, বড়পাড়া, ইব্রাহিমপুর কাজির পয়েন্ট, ষোলঘর এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন শহরের বাসিন্দারা।
রোববার সকাল থেকে পৌর শহরের কাজির পয়েন্টে এলাকায় ঢলের পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার নিম্নাঞ্চলেও পানি প্রবেশ করেছে। সদরে ও গ্রামীণ জনপদের সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সুনামগঞ্জবাসী। জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে আরপিননগর ও বড়পাড়া সহ কয়েক স্থানে।
সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ছাতক পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে, বন্যা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে বাড়ছে সিলেটের নদনদীর পানি। রবিবার ২৪ ঘন্টায় সিলেটে ১১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সিলেটের বিভিন্ন সড়কে ও নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আরও কয়েকদিন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, উত্তরাঞ্চলে তিস্তার পানি কমলেও ধরলা, সানিয়াজান, সর্নামতিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ছে। এসব নদী সংলগ্ন চরাঞ্চলের বাদাম, ভূট্টা ও আমন বীজতলা তলিয়ে গেছে। নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রামে দুধকুমার ১৬ সেমি ও ধরলা নদীর পানি ২২ সেমি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে স্থিতিশীল থাকলেও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে কমে বিপদসীমার ৭৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।