বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানায় বাংলাদেশ সফররত ইইউ’র প্রতিনিধি দল। সকালে রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাসে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের ৫ সদস্যের একটি দল অংশ নেয়।

বৈঠক শেষে ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।

তিনি বলেন, ইইউ প্রতিনিধিদল আগের নির্বাচনগুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন কেমন হবে এবং আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা জানতে চেয়েছেন। আমরা সম্প্রতি পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন, আগের সব নির্বাচন, ইসির সক্ষমতা ও সরকারের সহযোগিতা তাদের সামনে তুলে ধরেছি।

মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, ওনারা (ইইউ দল) প্রত্যাশা করেন, বাংলাদেশের সবকয়টি রাজনৈতিক দল আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

এর আগে, রোববার (৯ জুলাই) ভোরে ইইউ প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসার পর সফরের প্রথম দিনে বেশ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন (সোমবার) আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল, মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ পুলিশ ও পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে দলটি।

নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে আসা আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত ইইউ প্রতিনিধিদলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে করবে।

ইইউর পর্যবেক্ষণ দলটি দুই সপ্তাহ অবস্থান করে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তাদের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করেই ইইউ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বিষয়ে সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছে।