অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের আইনি কাঠামো যথেষ্ট বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে আসা ছয় সদস্যের এই প্রতিনিধি দল বিদ্যামান আইনি কাঠামোতে ‘সন্তোষ প্রকাশ করেছে’ বলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার জানিয়েছেন।

বুধবার সচিবালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইন সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের আইনগত কাঠামো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট কিনা, তারা এটা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের যে আইনগত কাঠামো আছে, সেটা যথেষ্ট।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) পাস হয়েছে, সেখানকার ৯১(১) এ-তে নির্বাচন বাতিল করার ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ৯১-এ যুক্ত করে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করেছেন। এটা ওটার আরও বাড়তি। ওনারা এতে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সম্প্রতি যে আইন হয়েছে, এই উপমহাদেশে এমন আর কোনো আইন নেই। আমরা বলেছি, সার্চ কমিটির যে ফরমেশন আছে, সেখানে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি, যিনি প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে মনোনীত হবেন। এ ছাড়া মহা-হিসাবনিয়ন্ত্রক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান এবং দুজন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, যাদের একজন নারী থাকবেন। ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের কাছে আমরা আইনও দিয়েছি। এ বিষয়ে তারা আমাদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।

এ বছরের শেষে বা পরবর্তী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ সফর করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের এই ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশন বা অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল।

৮ থেকে ২৩ জুলাই এ সফরে মূল নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিক্স ও নিরাপত্তা– ইত্যাদি বিষয় মূল্যায়ন করবে এই মিশন। এর অংশ হিসেবে তারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন।

স্বাধীন এই প্রতিনিধি দল ইউরোপীয় জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।