দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, গণমাধ্যম, অর্থনীতি এবং শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা এখন অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাজ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

সকালে এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে ভার্চুয়ালি দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জানান, শিক্ষার্থীদের নেতৃতক্ষে বাংলাদেশে যে বিপ্লব হয়েছে তাদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্খাকে রূপ দিতে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের নেতা এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে সংলাপ করছে এই সরকার।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম কাজ।

সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান পর্যায়ের এই অধিবেশনটি সঞ্চালনা করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের প্রতিপাদ্য সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য, ‘অ্যান এমপাওয়ারড গ্লোবাল সাউথ ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচার।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ দর্শনের সম্প্রসারণ হিসেবে এ উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল। আর এটি মূলত ভারতের বসুদেব কুটুম্বকমের দর্শন।

এটি গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলোকে একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে সম্পূর্ণ পরিসরে ভাগ করার জন্য একত্রিত করার পরিকল্পনার অংশ।

ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট (ভিওজিএসএস) এবং একই বছরের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিটের আয়োজন করেছিল, তবে দুটি সম্মেলনই ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করা হয়েছিল।

শীর্ষ সম্মেলনের পূর্ববর্তী উভয় আয়োজনে গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল।