সেতু ও সড়কগুলো সঠিক রক্ষাণাবেক্ষণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ঘটনার সময় সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনা কবলিত ব্যক্তিকে চিকিৎসাধীন করার বদলে চালককে মারতে যান। আর এই ভয়েই চালক দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যান। অনেক সময় গণপিটুনিতে চালক মারাই যান। কেউ ইচ্ছা করে ধাক্কা দেন না। তাই সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। প্রতিটি মানুষকে আমরা দক্ষ করে তুলবো। ডেল্টা প্ল্যান কার্যক্রম চলমান থাকবে। যারা আমাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না, ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বিশ্বাস করে না তারা এদেশের উন্নতি চান না।

বিরোধী রাজনীতিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শুনতে হয়, আওয়ামী লীগ সরকার এই দেশটা ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি জানি না, এ কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে কিনা সেটাই আমার প্রশ্ন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যারা বলেন আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি, তাদেরকে আমরা বলি, ১০০ মহাসড়ক একই দিনে উদ্বোধন, এর আগে কেউ করতে পেরেছে? একমাত্র আওয়ামী লীগই করতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ যখন যাত্রা শুরু করে, ঠিক সেই সময়েই ৭৫’র ১৫ আগস্টের আঘাতটা আসে। থেমে যায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারতো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া কত দেশকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখি। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বেঁচে থাকতেন, তার হাতে যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থাকতো, তাহলে ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। কিন্তু ঘাতকদের কারণে সেটা হতে পারেনি। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসেই আমরা দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করি।