সোহরাওয়ার্দী উদ্যান স্বাধীনতার স্মারক বলে বিএনপি সেখানে সমাবেশ করতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (পহেলা ডিসেম্বর) ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমপর্ণ করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এত অনীহা কেন? কারণ তাদের কাছে পাকিস্তানই ভালো ছিল। ক’দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখেও এই কথা শোনা গেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে ১০ই ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। সেদিন সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়, যাঁদের পরে হত্যা করা হয়। সেই ঘাতকদের প্রতি সংহতি জানাতে একই তারিখে সমাবেশ দিয়েছে বিএনপি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সহযোগিতা করছে বলেই সারাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারছে বিএনপি। কিন্তু তাদের আমলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে আমাদের নেত্রীকে হত্যা করার অপচেষ্টা চলে। প্রাণ নেওয়া হয় ২৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে কঠোর হস্তে দমন করবে সরকার। তাই সরকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুগুলি প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে কঠোর হতে বাধ্য করবেন না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নিজামুল হক ভূঁইয়াসহ শহীদ সন্তান ও আয়োজক জোটের নেতারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।