আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আমাদের দলের হলেও তাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই ভাবতে হবে। আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ঠেকাতে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কথায় সাড়া দিলে বিএনপির নেতাকর্মীদের আম-ছালা সব যাবে। তিনি বলেছেন , বলেন, ‘ট্যাক্স না দিলে জেলে যেতে হবে, ইউটিলিটি বিল না দিলে শাস্তি হবে। বিদ্যুৎ-পানির বিল না দিলে লাইন কেটে দেয়া হবে, সোজা কথা।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সর্বত্রই এখন মানুষের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এখন অন্য কোনো আলোচনা নেই। আমরা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ চাই। নির্বাচনকে নিয়ে কোনো সহিংসতা চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভায়োলেন্স ফ্রি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী বা কোনো প্রার্থী যদি সহিংসতায় জড়ায় তাহলে নির্বাচন কমিশন যে আইনগত ব্যবস্থা নেবে, আমরা সেটিকেই সমর্থন করব। নির্বাচনকালীন কোনো সহিংস কর্মকাণ্ড সমর্থন দেব না, প্রশ্রয়ও দেব না।

কাদের বলেন, যারা আমাদের দলের প্রার্থী আছেন এবং যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, তারাও কিন্তু আমাদের দলেরই নেতাকর্মী। সুতরাং এর মধ্যে কোনপ্রকার পক্ষপাত বা কোনো বৈরি পরিবেশ তৈরি করা যাবে না। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক প্রতিক্রিয়া আমরা চাই না, যা সমর্থনযোগ্য নয়।

তারেক রহমানের উদ্দেশ সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বসে এসব উদ্ভট আন্দোলনে ডাক না দিয়ে রাস্তায় আসুন, মোকাবিলা হবে। বাংলাদেশে খোমিনি স্টাইলে আন্দোলন হবে না, হয় রাজপথে নয় জেলে।

নির্বাচন বর্জন করায় বিএনপির রাজনীতির পথ আরও সংকুচিত হবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছে জনগণ তাদের বর্জন করা শুরু করেছে। আর আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়ে তাদের এখন আর কী করার আছে। বরং এই নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতির পথ আরও সংকুচিত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। সারাবিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মান বজায় রেখেই এখানে নির্বাচন হবে।