দেশের স্বর্ণের বাজারে আবারও মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। সর্বোচ্চ মানের বা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের প্রতি ভরিতে (১১.৬৬৪ গ্রাম) দাম ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের নীতিনির্ধারণী বৈঠকের আগে ডলার দুর্বল হয়ে পড়ায় মঙ্গলবার স্বর্ণের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে। বৈঠকে সুদের হার কমানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৬৯৬ দশমিক শূন্য ২ ডলার, যা ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি। দিনের শুরুতে দাম ছুঁয়েছিল সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৯৭ দশমিক ৭০ ডলারে।
ইউবিএস বিশ্লেষক জিয়োভান্নি স্টাউনোভো বলেন, দুর্বল ডলার কিছুটা ভূমিকা রাখছে, তবে মূল বিষয় হলো ফেড এই সপ্তাহে সুদের হার কমাবে এমন প্রত্যাশা
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ৮১ হাজার ২ টাকা, ১ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতি ১ লাখ ২৮ হাজার ৭০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ১৩৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা এতোদিন ছিল দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।