কাতার সফর নিয়ে আজ (সোমবার) সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এদিন সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে কাতারে এলডিসি ৫ সম্মেলনে যোগদানের অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলো কারো করুণা বা দাক্ষিণ্য চায় না বরং আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের ন্যায্য পাওনা চায়।
এসময় তিনি বলেন, ‘কাতার সফরে করোনা অতিমারি ও চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট বিশ্বব্যাপী খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নেওয়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে আমি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, নিরাপদ অভিবাসন, জলবায়ু অর্থায়ন প্রাপ্তি ইত্যাদি বিষয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিশেষ প্রয়োজনের কথা তুলে ধরি’।
এছাড়া বাংলাদেশসহ উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উন্নয়ন অর্জনকে গতিশীল রাখতে বর্ধিত সময়ের জন্য এলডিসিদের জন্য প্রযোজ্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে জাতিসংঘের সদস্য দেশের স্বীকৃতি পায়। তার দেখানো পথ অনুসরণ করেই আমাদের সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী একটি মধ্যম আয়ের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের সব মাপকাঠি পূরণ করতে সক্ষম হয়’।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত চৌঠা মার্চ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল-থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির ও জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেইখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এছাড়া কাতার সফরকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন।