নরসিংদী শহরে একটি বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের সাটিরপাড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। কে বা কারা গৃহবধূকে হত্যার পর দরজা খোলা রেখে পালিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান।

নিহত গৃহবধূর নাম মানসুরা আক্তার ইতি (২৪)। তিনি শহরের সাটিরপাড়া কে কে ইনস্টিটিউশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পৌরনীতি বিষয়ের প্রভাষক মশিউর রহমান হিমেলের স্ত্রী। হিয়ামনি নামে এই দম্পতির চার বছরের একটি শিশুকন্যা আছে ।

স্থানীয়রা জানান, এই দম্পতি তাদের সন্তানকে নিয়ে চারতলা বাসার নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে স্ত্রীকে বাসায় রেখে স্বামী মশিউর তার গ্রামের বাড়ি বেলাবো উপজেলায় যান। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাসায় মানসুরার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন।

পরে খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের বড়ভাই নূর মোহাম্মদ জানান, ৬ বছর আগে ছোটবোন মানসুরার সঙ্গে মশিউরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। গত এক বছর ধরে এই বাসায় ওঠার পর থেকেই প্রতি শুক্রবার মশিউর মানসুরাকে বাসাতে রেখে গ্রামের বাড়িতে যেতেন। আজ বিকেল ৪টার দিকে তার গলাকাটা মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকার খবর পাই স্থানীয়দের মাধ্যমে। পরে বাড়ি থেকে মা-বাবাকে নিয়ে এখানে এসেছি। কে বা কারা তাকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করল, বুঝতে পারছি না। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে সন্দেহ করেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকে যে সন্দেহ করব, সেটাই বুঝতে পারছি না। তবে যারা আমার বোনকে এমনভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, কারা ওই গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে তা আমরা তদন্ত করে বের করব। সম্ভাব্য সব বিষয় সামনে রেখেই পুলিশি তদন্ত করা হবে। আশা করছি, দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারব।